২৭০৩ সালের একটি সকাল। রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া । রর্বাট বোর ব্যক্তিগত হাই স্পিড সুপারসনিক বিমানে করে ১ ঘন্টায় পৃথিবীর পরিধিটা ঘুরে আসল। । তার বিমানটি অটোমেটেড । সে না চালালেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটা চলতে সক্ষম।
সেখানে জিম করার বিশেষ সুবিধাও রয়েছে ।এটা তার ছোট আউটিং এর অংশ ঠিক একুশ শতাব্দীর বালকরা যেমন বাইক নিয়ে ঘুরত তেমনটি। ৬০০ বছরের ব্যবধানে সে তরুণ সম্প্রদায় ব্যক্তিগত বিমান নিয়ে ঘুরে৷
স্বয়ংক্রিয়ভাবে পলিমামের তৈরি স্বচ্ছ হালকা বডির বিমানটি। সুতরাং সে সবই দেখতে পায় তবে বিমানটির ঘূর্ণন গতির কারনে বাহ্যিক বস্তু স্বাভাবিক চোখে সে দেখতো না। বাবার কাছে বায়না ধরেছে তিনি যেন তার ভ্যাকেশনে চোখের একটি মাইনর অপারেশন করিয়ে চোখের মেগাপিক্সেল বৃদ্ধিতে সহায়তা করেন৷ গত ডিসেম্বরে সে তার মস্তিষ্কের অপারেশন করিয়ে অতিরিক্ত মেমোরি যোগ করে নিয়েছে। তার মস্তিষ্ক এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মত কাজ করে। মুহূর্তে সে বলে দিতে পারে জটিল সব যোগ,বিয়োগ,গুন, ভাগ। যোগাযোগ করতে পারে ভীন- গ্রহের জীবের সাথে।
ইতোমধ্যে তার দাদা রবার্ট রে, মঙ্গলগ্রহে বাস করছেন সস্ত্রীক। বোর প্রতি সপ্তাহে তিনবার মঙ্গলগ্রহে ট্যুর করে। সেখানের মাটি লাল তবে ৪০০ বছর পূর্বে নাসার একদল বিজ্ঞানী সেখানে কৃত্রিম বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বায়ুমন্ডল সৃষ্টির দ্বার উন্মোচন করেছিলেন এবং কৃত্রিম ম্যাগনেটিক পাওয়ার সৃষ্টি করে ররফ ভর্তি একটা গ্রহাণুকে সেখানে টেনে ফেলে কার্বন ডাই অক্সাইড ছিটিয়ে পানির ব্যবস্থা করেছেন এবং ওটার টু অক্সিজেন প্রজেক্টের মাধ্যমে এবং কৃত্রিম রাসায়নিক ছড়িয়ে সেখানে সক্রিয় বায়ুমন্ডলের ব্যবস্থা করেছিলেন৷ যেটা ছিলো পৃথিবীতে অবস্থানকারী এক জাতির সাফল্যের কাহিনি।
ভয়েজার ২ এর মাধ্যমে পাঠানো ছবিটি প্রোকসিমা সেন্টিরিও নক্ষত্রের একটি গ্রহের একটি বুদ্ধিমান প্রাণী সুমহাউ (সে গ্রহের উন্নত প্রানী) দের হাতে। তারা চেয়েছিল সৌহার্দ্যপূর্ন একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে। তুলেছে ও তাই। সুমহাউ এবং মানুষের ভার্চুয়াল যোগাযোগ হয় ২৫০০ সাল হতে। প্রণয়ও হয়েছে তবে তারা তৈরি মানুষের প্রতিপদার্থ দিয়ে। যদি পরস্পরকে ছুঁয়ে দেখে তবে বিরাট শক্ট এর সৃষ্টি হবে এবং দুজনই মারা যাবে।
রবার্ট বোর এনায়িনি নামে একজন প্রনয়ণীকে খুজে পেয়েছে সুমহাউ শ্রেনীর মধ্যে। তাদের ভার্চ্যুয়াল যোগাযোগ ঠিকই হয় কিন্তু কাছে আসার সৌভাগ্য হয় না। এ যেন এক মধুর সমস্যা। কিছুদিন আগে উল্কাপিন্ডের বিস্ফোরণের কারণে সুমহাউ ও মানুষ জাতির ভিতর যোগাযোগ বন্ধ ছিলো ১ দিন। বোর এবং এনায়িনির জীবনে তখন প্রলয় উঠেছিল । প্রণয় কী বাধা মানে?
এটা হতে আরও ভয়ানক সমস্যা আছে বোর এবং এনায়িনির শারীরিক গঠনও ভিন্ন । যদি প্রতিপদার্থের গোলকধাঁধা নিরসন করতে পারে তবুও ছুঁয়ে দেখার তীক্ষ্ণ আকাঙ্ক্ষা কী পূরণ হবে কী কখনো?
২৭০০ সাল, এ্যালিয়েল, মানুষ ও প্রেম ( পর্ব ২)
এই বিশ্ব ভূবন বলে যা আমরা ভাবতাম এতদিনে তার সংঙ্গা টাও পরিবর্তন হয়েছে। যতদূর জানা যায় তাতে ১০ টি নক্ষত্রের ৮ টি গ্রহে অবস্থানরত উন্নত প্রানীদের সন্ধান মিলেছে। সেই ৩০০ বছর আগে সূর্যের সব কয়টি গ্রহে পরীক্ষা করে উন্নত প্রাণীর অস্তিত্ব মিলেনি, পৃথিবী ছাড়া। কৃত্রিম ফুসফুস, হার্ট, তৈরি হয়েছে কিন্তু মানুষ আমরত্ব লাভ করেনি। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেই সেটা বিদেহী হয়। তবুও কিছু কিছু মানুষ রোবটিক্স বিদ্যা কাজে লাগিয়ে মৃত মানুষের চামড়ায় ফরমালিন হতে উন্নত-তর পদার্থ মিশিয়ে পচন ক্রিয়া রোধ করে। পিলাস্টিক সার্জারী ও অপারেশন করিয়ে কঙ্কালের উপর সার্কিট লাগিয়ে প্রিয় মানুষকে কাছে রাখে, সান্ত্বনা খুজে। সেই মানুষগুলো নিজের প্রয়োজনে নিজেকে চার্জড দিতে পারে। ততদিনে ওয়ারলেস বিদ্যুৎ পৌচ্ছে গেছে ঘরে ঘরে। এখন কোথাও কোন কেবল নাই সব বিদ্যুত পৌচ্ছে যাচ্ছে আয়োনমন্ডলের সহায়তায় ।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছে সরাসরি সূর্যের আলো তড়িৎ সেলে ফেলে ইনভারটার এ নিয়ে গৃহে গৃহে বিদ্যুতের প্লান্ট পৌচ্ছে দিতে। সব যানবাহন চলছে খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়াম ছাড়া৷ শুধুমাত্র রকেট এ ব্যবহৃত হচ্ছে খনিজ জ্বালানি ।
পৃথিবীর সব পারমাণবিক বোমা আজ নিস্ক্রিয়। প্রতিটি দেশের আছে এন্ট্রি মিশাইল ডোম। যেটি বিদ্যুতিক শক্তিতে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ও চেইন রিয়াকসন ভাঙতে সক্ষম। যুদ্ধ বাধলে তাই কোন দেশ পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে না কেননা পতিপক্ষের রাডার সেটা ধরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বৈদ্যুতিক প্লান্ট তৈরি করে জ্বালানি সমৃদ্ধ হয়। উন্নত দেশগুলোর ভিতর একটায় যুদ্ধ আছে সেটা ভাইরাস যুদ্ধ । ২২৫০ সালে মানুষের শরীর হয়ে উঠেছিল এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্ট। অর্থাৎ কোন এন্টিবায়োটিক তার কাজ করছিল না। ২৪০০ সালে চীনের এক বিজ্ঞানী এন্টি-ভাইরাস ও এন্টি ফাঙ্গাল ঔষধ আবিষ্কার করেছেন। যা কিছুদিন মানুষ সম্প্রদায়কে ভালো রাখলেও এখন মানুষের শরীর হয়ে উঠছে এন্ট্রি-ভাইরাস ও ফাঙ্গাল রেজিসটেন্ট। সর্দি কাশিতেও মানুষ মরছে কেননা তাদের দেহ ভাইরাস,ব্যাক্টরিয়া, ফাঙ্গাল সহনীয় না৷ তাই খুজতে হচ্ছে বসবাসের অন্য গ্রহ যেখানে ভাইরাসের মিউটেশন কম হয়েছে বা ভাইরাসের শক্তি কম রয়েছে ।
প্রতিটি দেশ মাতছে নতুন নতুন গ্রহ দখলে। আগে যেমন মেতে থাকতো দ্বীপ দখলে। ভাইরাস যুদ্ধের এ পর্যায়ে প্রতিটা বিজ্ঞানী তাদের মস্তিষ্কে অপারেশন এর মাধ্যমে অতিরিক্ত মেমোরি সংযোজন করে নিচ্ছেন তাদের ভাবনাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু এটা যে ভাইরাস যুদ্ধ৷ প্রতিপক্ষ দেশের ভাইরাসগুলো তাই বিজ্ঞানী -দের মস্তিষ্কে আঘাত হেনে সব তথ্য মুছে দিয়ে মেরে ফেলে৷
যেটা বলা হয়নি সেটা হলো মানুষ এখন কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করে নিজেকে তৈরি করেছে বিদ্যুৎ প্রতিরোধী । তার মানে ওয়ারলেস বিদ্যুৎ রশ্মি তার মৃত্যু ঘটায় না। নতুন শিশু জন্মালেই তাকে এ হরমোন প্রয়োগ করা হয়৷ এ যেন কৃত্রিমভাবে বেঁচে থাকার সব আয়োজন আছে সেখানে।
এমন অবস্থানে অবস্থান করছে রবার্ট বোর ও তার প্রণয়িনী এনায়িলি৷ প্রোকসিমা সেন্ট্রারিও নক্ষত্রের গ্রহের বাসিন্দা সে। সেখানে তার বাস। আমরা নিজেদের মানুষ বলি তারা বলে নিজেদের সুমহাউ। তাদের জীবন প্রায় ১০০০ বছরের । আমাদের তিনদিনে তাদের দিন হয়। তারা দিনে ৩৬ ঘন্টা ঘুমায়৷ তাদের শরীরটা সেভাবেই তৈরি। রবার্ট বোর তাই খুবই বিরক্ত হয়। এনায়িনি বোরের মনের ভাষা বুঝে তাই শত প্রতিকূলতা সত্বেও এলার্ম দিয়ে রাখে। আধজাগা ঘুমে উঠে যোগাযোগ করে। সেটা নাহয় এলায়িনি মেনে নিলো তবে মানুষ ও সুমহাউ সাক্ষাৎ হবে না সেটা সে কখনোই মানবে না কেননা রবার্ট বোরই তার প্রানে নতুন আন্দোলনের সৃষ্টি করে। সে কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্য নামক তারাটিকে দেখতে পায়। তার পাশেই দেখতে পায় জ্বলজ্বলে নীল গ্রহ। সূর্যের আলোর প্রতিফলনে ভীষণ উজ্জ্বল । সেখানেই থাকে তার রবার্ট। তার ভাষায় সে যোগ দিবে প্রোকসিমা সেন্টরিও গবেষণা ইনস্টিটিউট এ। সেখান হতে আবিস্কার করবে প্রতিপদার্থ নামক চার্জড কে নিউট্রাল করা যায় সেটা নিয়ে। খুবই হচ্ছে তার পৃথিবীতে এসে সংসার করার। প্রযুক্তির এই বিপ্লবে গ্রহের উন্নত প্রাণী আবেগহীন হয়ে পড়লেও সে হতে চাইনা।
সে মাঝে মাঝে ভাবে, " আমি যদি প্রতিপদার্থ নিউট্রাল করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করি তবে আমার সুমহাউ প্রজাতি মানুষের ধ্বংস ঘটিয়ে পৃথিবী ধ্বংস করবে৷ এভাবে আমি বোর ও তার প্রজাতিকে হারিয়ে যেতে দেখতে চাই না৷ আমার এ প্রজেক্টটি থাকবে খুবই গোপন৷ তবে, আমি ছাড়া অন্য কেউ তো প্রতিপদার্থ নিউট্রাল করার প্রযুক্তি আবিস্কার করবে। তখন কী হবে? না, আমাকে গবেষণা করে তাদের হতে আরও বহুধাপ এগিয়ে থাকতে হবে যাতে তারা পৃথিবীর কোন ক্ষতি না করে। আমি তো বোরের সাথে ওই নীল মাটিতেই বাস করতে চাই। তাই বলে এটা কী আমার আমার সুমহাউ প্রজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে না। হলে হোক আমি এতশত ভাববো না। মানুষ যদি আমার গ্রহ প্লাটিক দখল করে আমি কী করবো? তারাও নিশ্চয়ই আগাচ্ছে । "
২৭০০ সাল, এ্যালিয়েল, মানুষ ও প্রেম ( পর্ব ৩)
এলায়িনির আজ কথা হয়েছে বোরের সাথে। ইতোমধ্যে তারা তাদের ভবিষ্যৎ সন্তানের নাম ঠিক করে ফেলেছে। মানুসুম। মানুষ থেকে মানু আর সুমহাউ হতে সুম নিয়ে এই অনবদ্য নামের সৃষ্টি হয়েছে । যদি তাদের কল্পনা সত্যি হয় তবে তারাই দুইটি ভিন্নগ্রহের শ্রেষ্ঠ প্রাণী যারা এই ইতিহাস সৃষ্টি করবে প্রথম।
এলায়িনি ও বোরের কথা হয় মেশিন ভাষায় ।
তাহলে তাদের সন্তান কোন ভাষায় বাবা এবং মাম্মমাস ( মা) বলে ডাকবে? তাদের সন্তান নীল গ্রহ পৃথিবী নাকি কালো গ্রহ প্লাটিকে থাকবে তা নিয়ে আছে দুজনের তর্ক বিতর্ক মান অভিমান । তবে একটি সূত্রে দুটি প্রাণ এক,যাই হোক না কেন দুটি প্রাণী একে অন্যকে ছাড়বে না। আর একে অপরকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য তারা কেউ কাউকে ভালোবাসি নি। বোর এর পূর্বপুরুষ অফ্রিকান আমেরিকান আর রাশিয়ান অভিজাত রাজ পরিবারের মিক্সিং । সে বহুকাল আগে ২১৯৫ সাল, সেবার রাশিয়া বলয় এবং যুক্তরাষ্ট্র বলয়ের যুদ্ধ হয়। যেটাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলে। সে যুদ্ধের ডামাডোল আর পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তায় রাশিয়া বলয়ের ১০০ কোটি মানুষ এবং আমেরিকা বলয়ের ৫০ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভেনদ্রেসা তুরোকাভাসকা কন্যাসহ আটক হয়েছিলেন আমেরিকা, চীন,ইসরায়েল বলয়ের কাছে।
তার পরিবারকে হত্যা করা হয়। কন্যাটিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। সেই নীল চোখ রাশিয়ার কন্যা বড় হতে থাকে আমেরিকান সেনাপ্রধান রবার্ট নেথানের গৃহে। নাম ছিলো তার ভেনদ্রোসকো তোরাকোভা। রর্বাট নেথানের পুত্র রবার্ট বার্বোস তার প্রেমে পড়ে এবং সে সম্পর্কটা বিয়েতে রূপলাভ করে। বিয়েটা হয়েছিল মহাসমারোহে । সেখানে উপস্থিত ছিলো ব্রিটিশ রাজ পরিবারের শার্লক । যদিও শার্লক এর বুড়ো দাদিমা রানী এলিজাবেথ তাকে রাজপরিবারের সন্তান বলে স্বীকৃতি দেয়নি শুধুমাত্র তার নানার কৃষ্ণাঙ্গ অতীত থাকার কারনে। সে চাইলেই তার নামে Prince ব্যবহার করতে পারে না, সেই তেঁজ বা জেদ থেকেই আজ সে আজ এই অনুষ্ঠানে। সে দেখবে কৃষাঙ্গ জেনারেলের পুত্র ও রাশিয়ান সুন্দরী মেয়ের সে ঐতিহাসিক বিয়ে।
পৃথিবী নামক গ্রহের এসব গল্প শুনে এলায়িনি শিহরিত হয়। মানুষে মানুষে যদি এত বৈষম্য থাকে তবে তাকে কী এই নীল গ্রহের মানুষ মেনে নিবে। নতুন একটি ভয় তাকে গ্রাস করে।
তার প্লাটিক গ্রহেও হেগ্রাবোথ আর বেগ্রাবোথ সম্প্রদায়ের যুদ্ধ হয়েছে। হেগ্রাবোথ সম্প্রদায়ের কপালে তিনটি তিল থাকে আর বেগ্রাবোথ সম্প্রদায়ের ঠোঁটে তিনটা তিল থাকে, স্বার্ণালী রঙের। কিন্তু টিংমুনের যুদ্ধের পরাজিত রাজার পুত্র বেঙ্গাবুটকে গ্রেফতার করে বেগ্রাবোথেরা এবং খুবই নির্যাতন চালায়। তা দেখে বেগ্রাবোথ রাজ -কন্যার মমতা হয় এবং সে পরাজিত রাজপুত্রকে নিয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গলে। সেখানে তারা নিরিবিলি সংসার পাতে। এদিকে একমাত্র মেয়ের শোকে বেগ্রাবোথ বলয়ের প্রধান রাজা পাগল প্রায় হয়ে পড়ে এবং ঘোষণা করে তার মেয়ে ফিরে আসলে কপালে তিল আর ঠোঁটে তিল ওলাদের বৈষম্য নিরসন করবে। কন্যা এবং কন্যার স্বামীকে মেনে নিবে । রীতিমতো এলায়িনির মা একটি নীরব সংগ্রাম করেছিলেন । সেটা এলায়িনিকে অনুপ্রানিত করে এবং হৃদয় মাঝে একটা শক্তির সঞ্চার করে যে, সেও নীল গ্রহের মাটিতেই ঘর বাধতে পারবে।
No comments:
Post a Comment